Rangpur Polytechnic Institute Alumni Association
Students of the Rangpur Polytechnic Institute belong to an organized community of more than 5000 alumni spanning over the world. This incredible network, the RPI Alumni Association, represents a powerful force for the good of the institute and for alumni.


Events

The RPIAA Roundtable
রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত হলো রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর প্রাত্নন শিক্ষার্থীদের নেটওয়ার্ক RPI Alumni Association (RPIAA) - Rangpur এর এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিং,যার শিরোনাম ছিলো “The RPIAA Roundtable”। সভার মূলমন্ত্র ছিলো — “A meeting where everyone has an equal voice.”সভাটি ইঞ্জিনিয়ার মো: তৌহিদূর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন:“RPIAA কেবল প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা নয়, বরং এটি একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম যা পেশাগত উৎকর্ষতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। আমাদের প্রত্যেকের মতামত সমানভাবে মূল্যবান এই চেতনা থেকেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”সভায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় সংগঠনকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করার কৌশল, শিক্ষার্থীদের জন্য মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম চালু, বৃত্তি তহবিল গঠন, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি, এবং আন্তর্জাতিক অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক বিস্তারের বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।এক্সিকিউটিভ কমিটির নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ঐতিহ্য ও গৌরবকে ধারণ করে সংগঠনকে জাতীয় উন্নয়নের সহায়ক শক্তিতে রূপান্তরের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।সভাটি সমাপ্ত হয় ঐক্য, সহযোগিতা এবং সবার সমান অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে।www.rpiaa-rangpur.orgThe Engineers Network.

রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের (RPI) প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের এক অনন্য মহামিলন
২৪ জানুয়ারি ২০২৫। শীতের এক স্নিগ্ধ সকালে গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুরে অবস্থিত বাঁশরি রিসোর্টে সমবেত হয় রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের (RPI) প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের এক অনন্য মহামিলন। একটি দিন, যা সাক্ষী হলো ইতিহাস সৃষ্টির।সারাদেশ থেকে আগত প্রায় ৭৫০ জন প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী ও তাঁদের পরিবারবর্গ এই আয়োজনে অংশ নেন। প্রাক্তন সহপাঠী, শিক্ষক ও সহকর্মীদের সঙ্গে বহু বছর পর দেখা হওয়ার আনন্দে দিনটি পরিণত হয় আবেগ, হাসি, স্মৃতি আর উদ্দীপনায় ভরা এক উৎসবে।মহামিলনের উদ্দেশ্য ছিল—- প্রাক্তনদের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন- শিক্ষকদের সঙ্গে আবেগঘন স্মৃতিচারণ- আরপিআই-এর ঐতিহ্য ও গৌরব উদযাপন- ভবিষ্যতের জন্য নতুন পথচলা নির্ধারণঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি কেবল একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, বরং হাজারো প্রকৌশলীর জীবনের ভিত্তি। তাই প্রাক্তনদের এই পুনর্মিলন শুধু আনন্দ নয়, ছিলো এক নতুন যাত্রার সূচনা।দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল—- সাংস্কৃতিক পরিবেশনা- প্রাক্তনদের সাফল্যের গল্প শেয়ার- স্মৃতিচারণ ও মুক্ত আলোচনা- ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের রূপরেখাএছাড়াও ছোট ছোট গ্রুপে পুরনো বন্ধুদের আড্ডা, শিক্ষকদের সঙ্গে আবেগময় মুহূর্ত ভাগাভাগি আর নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে দিয়েছে এক বহুমাত্রিক রূপ।শিক্ষকদের উপস্থিতি – এই মহামিলনকে সত্যিকারের মহিমান্বিত করেছে সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দের উপস্থিতি। তাঁদের আগমন শুধু প্রাক্তনদের জন্য নয়, বর্তমান প্রজন্মের জন্যও ছিল এক বিশেষ অনুপ্রেরণা।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—- ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান সরকার (চিফ ইন্সট্রাক্টর, সিভিল)- ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শহিদুল ইসলাম শাওন (চিফ ইন্সট্রাক্টর, মেকানিক্যাল)- ইঞ্জিনিয়ার নাজমুস সাকিব (চিফ ইন্সট্রাক্টর, পাওয়ার)- অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান (ডুয়েট, মেকানিক্যাল)শিক্ষকবৃন্দ তাঁদের প্রজ্ঞাময় বক্তব্যে তুলে ধরেন—আরপিআই-এর ঐতিহ্য, শিক্ষার্থীদের গৌরবময় অবদান, এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা। তাঁদের প্রতিটি কথা প্রাক্তন ও বর্তমান প্রজন্মের জন্য ছিল দিকনির্দেশক, প্রেরণাদায়ী এবং পথপ্রদর্শক।শিক্ষকরা শুধু অতীতের স্মৃতি উজ্জ্বল করেননি, বরং ভবিষ্যতের দায়িত্ব ও সম্ভাবনার দিকেও সবাইকে নতুন করে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করেছেন।একটি নতুন সূচনা:অনুষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন ছিল “RPI Alumni Association (RPIAA) - Rangpur”-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা।প্রাক্তনদের ঐক্য, নেতৃত্বের দক্ষতা এবং দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হন ইঞ্জি. মো. তৌহিদুর রহমান (তৌহিদ)।তাঁর—- দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা,- অ্যালামনাইদের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ,- সমন্বয় ও নেতৃত্বদানের দক্ষতা,এবং আরপিআই-এর প্রতি অগাধ ভালোবাসাতাঁকে করেছে সবার আস্থাভাজন। সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে তাঁকে সভাপতি ঘোষণা করা হয়।অংশগ্রহণকারীরা বিশ্বাস করেন, তাঁর নেতৃত্বে RPIAA হবে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম, যা প্রাক্তন ছাত্রদের নেটওয়ার্ককে আরো সুসংগঠিত করবে, পেশাগত উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে এবং একাডেমিক ও শিল্পক্ষেত্রে নতুন অংশীদারিত্বের দ্বার উন্মোচন করবে।এই পুনর্মিলনী সফলভাবে আয়োজন সম্ভব হয়েছে বহু প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন—- প্রকৌ. তৌহিদুর রহমান (তৌহিদ), - প্রকৌ. নাসিম, - প্রকৌ. মিল্টন, - প্রকৌ. খোকন, - প্রকৌ. সুমন, - প্রকৌ. নিবারণ, - প্রকৌ. গালিব, - প্রকৌ. সাগর, - প্রকৌ. আশিক, - প্রকৌ. রিংকু, - প্রকৌ. এসবি রাসেল- প্রকৌ. পারভীন আক্তার ময়ন এবং - প্রকৌ. আকতারুজ্জামান আসিফ সহ রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের বিভিন্ন প্রজন্মের প্রতিনিধি ও লিডারগন।এই মহামিলন প্রমাণ করেছে—রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেবল স্মৃতিচারণের স্থান নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দিকনির্দেশনা দেওয়ার এক ঐক্যবদ্ধ পরিবার।“রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের মহামিলন ২০২৫” তাই শুধু একটি পুনর্মিলন নয়, বরং একটি আন্দোলন—যা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য তৈরি করছে নতুন দিগন্ত, নতুন স্বপ্ন, নতুন শক্তি।দিনটির প্রতিটি মুহূর্ত সাক্ষী হলো একটি নতুন ইতিহাসের। স্মৃতি, আনন্দ, ঐক্য এবং ভবিষ্যতের আশার সমন্বয়ে এই আয়োজন হয়ে থাকবে রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অ্যালামনাই পরিবার এবং পুরো ইঞ্জিনিয়ারিং সম্প্রদায়ের জন্য এক অনুপ্রেরণার নাম।

টি-১০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫ এ RPIAA এর অংশগ্রহণ
তারুণ্যের উৎসব – টি-১০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫ এ RPIAA এর অংশগ্রহণ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানী ঢাকার শেরে বাংলা নগরের ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট মাঠে অনুষ্ঠিত হয় তারুণ্যের উৎসব – টি-১০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।বাংলাদেশের সকল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এতে অংশগ্রহণ করে, যা হয়ে ওঠে এক জাতীয় উৎসব।রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট (RPI) এই টুর্নামেন্টে অংশ নেয় এবং শুরু থেকেই তাদের পাশে দাঁড়ায় RPI Alumni Association – Rangpur।সংগঠনের কার্যক্রমসমূহ – ১. আগমন ও অভ্যর্থনারংপুর থেকে আসা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ঢাকায় পৌঁছানোর পর অ্যালামনাই সংগঠনের সদস্যরা তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে অভ্যর্থনা জানান।এটি ছিল শুধু সৌজন্য নয়, বরং একটি প্রাতিষ্ঠানিক বার্তা— “তোমরা একা নও, আমরা আছি তোমাদের পাশে।”২. যাতায়াত সুবিধাঢাকার ভেতরে যাতায়াত অনেক সময়ই খেলোয়াড়দের জন্য ঝক্কি-ঝামেলার হয়ে দাঁড়ায়। RPIAA Rangpur এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে খেলোয়াড় ও শিক্ষকদের জন্য নির্ধারিত পরিবহনের ব্যবস্থা করে। এতে খেলোয়াড়রা ঝামেলামুক্ত থেকে শুধুমাত্র খেলায় মনোযোগ দিতে পেরেছিল।৩. খাবার ও আতিথেয়তাঅ্যালামনাই সংগঠন খেলোয়াড় ও শিক্ষকদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও মানসম্মত খাবারের ব্যবস্থা করে।এটি শুধু শারীরিক শক্তিই যোগায়নি, বরং খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে আশ্বস্ত করেছে যে তাদের জন্য একজন অভিভাবকসুলভ সমর্থক আছে।৪. ইউনিফর্ম ও পরিচিতিRPIAA বিশেষভাবে টিম টিশার্ট সরবরাহ করে। এই টিশার্ট পরে সমর্থকরা যখন মাঠে খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিয়েছিলো, তখন তারা শুধু একটি দল ছিল না, বরং RPI-এর সম্মান ও ঐতিহ্যের প্রতিনিধি হয়ে ওঠে।৫. মাঠে উপস্থিত থেকে উৎসাহ প্রদানটুর্নামেন্ট চলাকালীন অ্যালামনাই সদস্যরা মাঠে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করেছেন। গ্যালারিতে অ্যালামনাইদের স্লোগান, সমর্থন ও উপস্থিতি খেলোয়াড়দের লড়াই করার মানসিক শক্তি দিয়েছে।ফাইনাল ম্যাচ ও চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন:১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ফাইনালে রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট মুখোমুখি হয় ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের। ম্যাচটি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ এবং প্রতিটি মুহূর্তে চাপ ছিল প্রবল।কিন্তু শেষ পর্যন্ত রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট জয়লাভ করে এবং চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি অর্জন করে।এই অর্জনে খেলোয়াড়দের ক্রীড়াশৈলীর পাশাপাশি অ্যালামনাইদের নীরব ভূমিকা ছিল অসাধারণ। তাদের দেওয়া সমর্থন ও সহযোগিতা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে এবং পারফরম্যান্সকে শক্তিশালী করেছে।আহ্বায়কের বক্তব্য:প্রকৌশলী তৌহিদুর রহমান, আহ্বায়ক – RPI Alumni Association (RPIAA) - Rangpur বলেন:"এই জয় কেবল একটি ট্রফি নয়; এটি আমাদের প্রতিষ্ঠানের সম্মান, ঐতিহ্য এবং শক্তির প্রতীক।আমরা বিশ্বাস করি, অ্যালামনাই ও শিক্ষার্থীরা একসাথে থাকলে বড় কোনো লক্ষ্যই অসম্ভব নয়।ভবিষ্যতে আমরা একাডেমিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনে আরও বড় অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের পাশে থাকব।"দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ও তাৎপর্য:এই টুর্নামেন্ট প্রমাণ করেছে, অ্যালামনাই সম্পৃক্ততা শিক্ষার্থীদের সাফল্যের জন্য অপরিহার্য।শিক্ষার্থীরা উপলব্ধি করেছে, তাদের পেছনে রয়েছে এক শক্তিশালী অ্যালামনাই পরিবার।প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি জাতীয় পর্যায়ে উজ্জ্বল হয়েছে।ভবিষ্যতের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি এক অনুপ্রেরণার গল্প হয়ে থাকবে।RPI Alumni Association (RPIAA)– Rangpur শুধু একটি সংগঠন নয়; এটি হলো একটি ঐক্যবদ্ধ পরিবার।প্রাক্তনরা আজকের শিক্ষার্থীদের হাত ধরে এগিয়ে নিচ্ছে ভবিষ্যতের পথে।আর এই যাত্রায় প্রতিটি সাফল্য শুধু একটি ট্রফি নয়, বরং এক অমূল্য বার্তা—“আমরা একসাথে, আমরা গর্বিত, আমরাই RPI।”

ইফতার মাহফিল ২০২৫
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পেশাজীবনে প্রবেশ করার পরও একটি বিষয় চিরকাল অটুট থাকে তা হলো পারস্পরিক বন্ধন। এটি শুধু স্মৃতি ধরে রাখে না, বরং পেশাগত উন্নয়ন, নেটওয়ার্কিং এবং ভবিষ্যৎ সহযোগিতার জন্যও কার্যকর ভূমিকা রাখে।এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে RPI Alumni Association (RPIAA) - Rangpur আয়োজন করে ইফতার মাহফিল ২০২৫। এই আয়োজন ছিল প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা, যেখানে স্মৃতিচারণের পাশাপাশি পেশাগত সহযোগিতার নতুন দিক উন্মোচিত হয়।বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও সম্মানজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা হাজারো শিক্ষার্থী আজ দেশের বিভিন্ন খাতে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন।তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক দৃঢ় করা, অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ তৈরি করা এবং একসাথে ভবিষ্যৎ গড়ার উদ্দেশ্যে RPIAA নিয়মিত বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। এরই অংশ হিসেবে আয়োজিত হয় এই ইফতার মাহফিল।এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল:প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক ও পেশাগত নেটওয়ার্কিং বাড়ানো।সিনিয়র-জুনিয়র প্রজন্মের সংযোগ স্থাপন করা।স্মৃতিচারণ ও পারস্পরিক সম্পর্ক পুনর্গঠন।ভবিষ্যৎ সহযোগিতামূলক প্রকল্পের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা।অ্যালামনাইদের জন্য একটি কমিউনিটি প্ল্যাটফর্মকে আরও শক্তিশালী করা।১৪ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গ্রান্ড প্রিন্স চাইনিজ অ্যান্ড কনভেনশন হল প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে।ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, প্রকৌশলী ও অতিথিবৃন্দ।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন IDEB কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ, খ্যাতনামা প্রকৌশলী এবং শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।আবেগঘন পরিবেশে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাদের স্মৃতিচারণ করেন, পুরনো সহপাঠীদের সাথে পুনর্মিলিত হন এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।পাশাপাশি ভবিষ্যতের পেশাগত সহযোগিতা, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, এবং অ্যালামনাই কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়।সভাপতির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌহিদুর রহমান বলেন:“এই আয়োজন শুধুমাত্র বন্ধন দৃঢ় করার জন্য নয়, বরং আমাদের পেশাগত নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী করতেও সহায়ক হবে। আমরা চাই, ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এমন আয়োজন হোক, যেখানে সিনিয়রদের অভিজ্ঞতা ও জুনিয়রদের উদ্যম একসঙ্গে কাজ করবে।”তার এই বক্তব্য অংশগ্রহণকারীদের অনুপ্রাণিত করে এবং ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করে।বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত খ্যাতনামা প্রকৌশলীশিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বপ্রাক্তন শিক্ষকবৃন্দ ও বিভিন্ন ব্যাচের অ্যালামনাইতাদের অংশগ্রহণ ইভেন্টটিকে মর্যাদাপূর্ণ করে তোলে।এই আয়োজন প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জীবনে নানা দিক থেকে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে:Networking Opportunities: বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের সাথে সরাসরি পরিচিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।Knowledge Sharing: সিনিয়রদের অভিজ্ঞতা ও সফলতার গল্প জুনিয়রদের জন্য দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করে।Professional Collaboration: ভবিষ্যতে যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ নিয়ে আলোচনা হয়।Community Bonding: সহপাঠীদের সাথে দীর্ঘদিন পর দেখা হওয়ার আনন্দ অ্যালামনাইদের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে।Career Guidance: শিক্ষার্থী থেকে পেশাজীবনে রূপান্তরের গল্প জুনিয়রদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়।ইভেন্টে জানানো হয় যে, RPI Alumni Association (RPIAA) তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপ (RPI Alumni Association - RPIAA, Rangpur) এবং ওয়েবসাইট (www.rpiaa-rangpur.org) এর মাধ্যমে সদস্য নিবন্ধন, ইভেন্ট আপডেট ও অনলাইন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।এর ফলে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা একই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হতে পারছেন।RPI Alumni Association আয়োজিত ইফতার মাহফিল ২০২৫ ছিল শুধু একটি ইফতার আয়োজন নয়; এটি ছিল স্মৃতি, আবেগ, জ্ঞান ও পেশাগত সম্পর্কের অনন্য সংমিশ্রণ।এই আয়োজন থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে কার্যক্রম পরিচালনার প্রেরণা জুগিয়েছে। আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, এ ধরনের উদ্যোগ নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্ক, সহযোগিতা ও ক্যারিয়ার সুযোগ আরও দৃঢ় হবে।

The RPIAA Roundtable
রাজধানীর বিলাসবহুল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত হলো রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর প্রাত্নন শিক্ষার্থীদের নেটওয়ার্ক RPI Alumni Association (RPIAA) - Rangpur এর এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিং,যার শিরোনাম ছিলো “The RPIAA Roundtable”। সভার মূলমন্ত্র ছিলো — “A meeting where everyone has an equal voice.”সভাটি ইঞ্জিনিয়ার মো: তৌহিদূর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন:“RPIAA কেবল প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা নয়, বরং এটি একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম যা পেশাগত উৎকর্ষতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। আমাদের প্রত্যেকের মতামত সমানভাবে মূল্যবান এই চেতনা থেকেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”সভায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় সংগঠনকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করার কৌশল, শিক্ষার্থীদের জন্য মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম চালু, বৃত্তি তহবিল গঠন, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি, এবং আন্তর্জাতিক অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক বিস্তারের বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।এক্সিকিউটিভ কমিটির নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ঐতিহ্য ও গৌরবকে ধারণ করে সংগঠনকে জাতীয় উন্নয়নের সহায়ক শক্তিতে রূপান্তরের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।সভাটি সমাপ্ত হয় ঐক্য, সহযোগিতা এবং সবার সমান অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে।www.rpiaa-rangpur.orgThe Engineers Network.